ই নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান ও আবেদন
জমি কেনার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো পূর্বের মালিকের নামে থাকা নামজারি পরিবর্তন করে নিজের নামে নিয়ে আসা। একটা সময় ছিল যখন নামজারি পরিবর্তন করা বা নামজারি আবেদন করা ছিল বেশ জটিল। কিন্তু এখন অনলাইনের মাধ্যমেই ঘড়ে বসে জমির নামজারির জন্য আবেদন করা যাইয়। এই আর্টিকেলে আমরা জানব কিভাবে ই নামজারি অনুসন্ধান করতে হয় এবং অনলাইনে ই নামজারি করার জন্য আবেদন করতে হয়। চলো দেখে নেয়া যাক বিস্তারিত।
নামজারি বা মিউটেশন কী?
নামজারি বা মিউটেশন হলো জমির পূর্বের মালিনের নাম নামজারি রেকর্ড থেকে পরিবর্তন করে বর্তমান মালিকের নামে রেকর্ড করা আর এই রেকর্ডের মাধ্যমে বুঝা যায় । আপনি যদি একটি জমি ক্রয় করে থাকেন বা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হুন বা অন্য যেকোন ভাবে মালিক হুন সব ক্ষেত্রেই ই নামজারি করা বাধ্যতামূলক।
নামজারি খতিয়ান কেন প্রয়োজন?
- মালিকানা নিশ্চয়তা: এটিই আপনার জমির মালিকানার একটি প্রধান দলিল, নামজারি খতিয়ান আপনার মালিকানা নিশ্চিত করে
- কর প্রদান: নামজারি ছাড়া আপনি জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন না, যা পরবর্তীতে বকেয়া হয়ে জরিমানার কারণ হতে পারে।
- পুনরায় বিক্রি: ভবিষ্যতে জমি বিক্রি করতে চাইলে আপনার নামে হালনাগাদ করা নামজারি খতিয়ান থাকতে হবে। এটি ছাড়া কোনো ভাবেই আপনি যদি বিক্রি করতে পারবেন না এবং নতুন দলিল হবেনা
- ঋণ গ্রহণ: ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে জামানত হিসাবে অনেক সময় নামজারি খতিয়ান জমা দিতে হয়
- ঝুঁকি এড়ানো: নামজারি না করলে বিক্রেতা একই জমি একাধিকবার বিক্রি বিক্রি করতে পারেন। আর আপনার নামে নামজারি করা থাকলে কোন ভাবেই বিক্রেতা দ্বিতীয় বার জমি বিক্রি করতে পারবেনা
ই নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান অনলাইনে
যেকোন জমির ই নামজারি খতিয়ান অনলাইনে অনুসন্ধান করার জন্য জমির ঠিকানা ও জমির একটি রেকর্ডক্রীত তথ্য প্রয়োজন হয়। মাত্র এই দুইটা তথ্য দিয়ে অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করা খুব সহজ
নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য, উক্ত জমির ঠিকানা এবং জমির খতিয়ান নং বা দাগ নং অথবা মালিকানা নাম জেনে নিন।
এরপর এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন dlrms land gov bd, এরপর ন্যাভিগেশন মেন্যু থেকে নামজারি খতিয়ানে ক্লিক করুন
তারপর আপনি যেই জমির নামজারি অনুসন্ধান করতে চান সেই জমি যেই স্থানে রয়েছে সে যায়গার ঠিকানা নির্বাচন করুন।
ঠিকানা নির্বাচন করার পর গ্রাম বা মৌজা নির্বাচন করুন, এরপর খতিয়ানের তালিকা থেকে নামজারি খতিয়ানটি খুজুন
খতিয়ানের তালিকাতে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য খতিয়ান নাম্বারটি লিখুন, নাম্বারটি লিখলেই উক্ত নাম্বারটি সহ মালিকানা নাম দেখানো হবে, তবে যদি জমির খতিয়ানটি হারিয়ে ফেলেন এবং খতিয়ান নং মনে না থাকে তাহলে দাগ নং নিয়েও অনুসন্ধান করতে পারেন
দাগ নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করার জন্য অধিকতর অনুসন্ধানে যেতে হবে সেখানে গিয়ে দাগ নং লিখে খুঁজুন বাঁটনে ক্লিক করলে খতিয়ান নং সহ উক্ত খতিয়ানে যত দাগ নং আছে এবং যতজন মালিক আছেন সব দেখতে পাবেন। আর যদি উক্ত জমির নামজারি খতিয়ান না থাকে তাহলে নিছের দাপ গুলো থেকে ই নামজারির জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় তা জানতে পারবেন
ধাপে ধাপে ই নামজারি আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে ই নামজারি আবেদন করা এখন খুবই সহজ। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই ই নামজারির জন্য আবেদন করতে পারবেন।:
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: প্রথমে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ই-নামজারির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (mutation.land.gov.bd)-এ প্রবেশ করুন।
- অ্যাকাউন্ট তৈরি/লগইন: আপনার মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করুন অথবা লগইন করুন।
- আবেদন ফরম: ‘নামজারি আবেদন’ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনাকে জমির বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে, জমির ঠিকানা, জমি বিক্রেতা বা ক্রেতা, অথবা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হলে উত্তরাধিকার সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে।
- কাগজপত্র আপলোড: প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট গুলো স্ক্যান করে স্ক্যানকপি গুলো আপলোড করতে হবে। এখানে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে পিকচার আপলোড করলে হবেনা।
- ফি প্রদান: আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনাকে কোর্ট ফি ২০ টাকা ও নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ: আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনি একটি ট্র্যাকিং নম্বর পাবেন। এই নম্বরটি অবশ্যই সংরক্ষণ করুন, কারণ এটি নামজারি আবেদন শর্বশেষ অবস্থা চেক করার জন্য প্রয়োজন হবে।
ই নামজারি যাচাই, আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা
আবেদন করার পর সবাই খুব দ্রুত জানতে চান আবেদন সর্বশেষ অবস্থা কি। আর এটিও খুব সহজ ।
অনলাইনে আবেদন ট্র্যাকিং:
- mutation.land.gov.bd ওয়েবসাইটের হোম পেজেই ‘আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা’ বা ‘ট্র্যাকিং’ নামে একটি অপশন পাবেন।
- সেখানে আপনার বিভাগ নির্বাচন করে আবেদন আইডি (Tracking Number) এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে ‘অনুসন্ধান’ বাটনে ক্লিক করুন।
- আপনি দেখতে পারবেন আপনার আবেদনটি বর্তমানে কোন পর্যায়ে আছে।
ই নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান ও চেক
যখন আপনার আবেদনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হবে, তখন আপনাকে একটি নোটিফিকেশন পাঠানো হবে। এরপর আপনার দুটি কাজ করতে হবে:
ডিসিআর (DCR) ফি প্রদান করা:
আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, ওয়েবসাইটে লগইন করে ডিসিআর (DCR – Duplicate Carbon Receipt) ফি বাবদ ১১০০ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। এই ফি পরিশোধ করা করা হলেই আপনি নামজারি খতিয়ান পেয়ে যাবেন । একটি ই নামজারি আবেদনের জন্য সর্বমোট মোট খরচ হয় (২০+৫০+১১০০) = ১১৭০ টাকা।
ই নামজারি আবেদন ও নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান: A-Z গাইড (সম্পূর্ণ)
<!-- Styles and Fonts -->
<link rel="preconnect" href="https://fonts.googleapis.com">
<link rel="preconnect" href="https://fonts.gstatic" crossorigin>
<link href="https://fonts.googleapis.com/css2?family=Noto+Sans+Bengali:wght@400;500;600;700&display=swap" rel="stylesheet">
<link rel="stylesheet" href="https://cdnjs.cloudflare.com/ajax/libs/font-awesome/6.5.1/css/all.min.css">
<style>
.blog-post-wrapper {
--primary-color: #198754;
--secondary-color: #f0f9f5;
--background-color: #f8f9fa;
--text-color: #343a40;
--heading-color: #212529;
--light-gray: #e9ecef;
--white-color: #ffffff;
--border-radius: 12px;
font-family: 'Noto Sans Bengali', sans-serif;
background-color: var(--background-color);
color: var(--text-color);
padding: 0;
line-height: 1.8;
}
.blog-post-container {
max-width: 1100px;
margin: 0 auto;
background: var(--white-color);
box-shadow: 0 6px 25px rgba(0, 0, 0, 0.07);
border-radius: var(--border-radius);
padding: 40px 50px;
}
.blog-post-header {
text-align: center;
border-bottom: 1px solid var(--light-gray);
padding-bottom: 25px;
margin-bottom: 40px;
}
.blog-post-header h1 {
font-size: 2.5rem;
color: var(--primary-color);
font-weight: 700;
margin: 0;
line-height: 1.4;
}
.blog-post-image {
margin-bottom: 30px;
border-radius: var(--border-radius);
overflow: hidden;
}
.blog-post-image img {
width: 100%;
height: auto;
display: block;
}
.blog-post-content .intro-text {
font-size: 1.1rem;
color: #555;
text-align: justify;
margin-bottom: 30px;
}
.blog-post-content h2 {
font-size: 2rem;
color: var(--heading-color);
font-weight: 600;
margin-top: 40px;
margin-bottom: 20px;
border-left: 4px solid var(--primary-color);
padding-left: 15px;
}
.blog-post-content h3 {
font-size: 1.5rem;
color: var(--heading-color);
font-weight: 600;
margin-top: 30px;
margin-bottom: 15px;
}
.blog-post-content p {
font-size: 1rem;
margin-bottom: 15px;
}
.blog-post-content strong {
color: var(--text-color);
font-weight: 600;
}
.blog-post-content ol, .blog-post-content ul {
padding-left: 25px;
margin-bottom: 20px;
}
.blog-post-content li {
margin-bottom: 10px;
}
.info-box {
background: var(--secondary-color);
border-left: 5px solid var(--primary-color);
padding: 20px;
margin: 30px 0;
border-radius: 0 var(--border-radius) var(--border-radius) 0;
}
.info-box p {
margin: 0;
}
.styled-list li {
position: relative;
padding-left: 25px;
list-style: none;
}
.styled-list li::before {
content: '\f058'; /* Font Awesome check icon */
font-family: 'Font Awesome 6 Free';
font-weight: 900;
color: var(--primary-color);
position: absolute;
left: 0;
top: 5px;
}
@media (max-width: 768px) {
.blog-post-container {
padding: 30px 25px;
}
.blog-post-header h1 {
font-size: 2rem;
}
.blog-post-content h2 {
font-size: 1.6rem;
}
}
</style>ই নামজারি আবেদন ও নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান: A-Z গাইড
জমি কেনার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইনি পদক্ষেপ হলো মালিকানা পরিবর্তন বা নামজারি (Mutation) সম্পন্ন করা। একটা সময় ছিল যখন এই নামজারি প্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং জটিল। কিন্তু ডিজিটাল ভূমি সেবার কল্যাণে, এখন ই নামজারি আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘরে বসেই এই কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব। এই আর্টিকেলে আমরা ধাপে ধাপে ই নামজারি আবেদন করার নিয়ম, নামজারি আবেদন চেক করার পদ্ধতি এবং চূড়ান্ত নামজারি খতিয়ান চেক ও অনুসন্ধানের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি আলোচনা করব।
নামজারি বা মিউটেশন কী? কেন এটি এত জরুরি?
নামজারি বা মিউটেশন হলো জমির পূর্ববর্তী মালিকের নাম সরকারি রেকর্ড থেকে বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নামে সেই জমির মালিকানা রেকর্ডভুক্ত করার প্রক্রিয়া। আপনি জমি ক্রয় করুন, উত্তরাধিকার সূত্রে পান বা অন্য কোনো উপায়ে মালিক হোন না কেন, নামজারি করা বাধ্যতামূলক।
নামজারি খতিয়ান কেন প্রয়োজন?
- মালিকানার আইনি স্বীকৃতি: এটিই আপনার মালিকানার প্রথম এবং প্রধান সরকারি দলিল। নামজারি ছাড়া শুধু দলিল দিয়ে মালিকানা চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয় না।
- ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান: নামজারি ছাড়া আপনি জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবেন না, যা পরবর্তীতে বকেয়া হয়ে জরিমানার কারণ হতে পারে।
- পুনরায় বিক্রি: ভবিষ্যতে জমি বিক্রি করতে চাইলে আপনার নামে হালনাগাদ নামজারি খতিয়ান থাকা আবশ্যক। এটি ছাড়া কোনো সাব-রেজিস্ট্রার আপনার জমি রেজিস্ট্রি করবেন না।
- ঋণ গ্রহণ ও নকশা অনুমোদন: ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে বা কোনো স্থাপনার নকশা অনুমোদন করতে এটি একটি অপরিহার্য দলিল।
- ঝুঁকি এড়ানো: নামজারি না করলে অসাধু বিক্রেতা একই জমি একাধিকবার বিক্রি করার সুযোগ পায়। এটি আপনার মালিকানাকে সুরক্ষিত রাখে।
ই নামজারি আবেদন করার পূর্বপ্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
একটি সফল ই নামজারি আবেদন করার জন্য আপনাকে কিছু কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। আবেদন করার আগে এই ডকুমেন্টগুলোর স্ক্যান কপি বা স্পষ্ট ছবি (সাধারণত PDF বা JPG ফরম্যাটে) তুলে রাখুন:
- দলিলের কপি: আপনার মালিকানার প্রমাণ (যেমন: সাফ কবলা দলিলের সার্টিফায়েড কপি)।
- পূর্ববর্তী খতিয়ান: বিক্রেতার বা পূর্ববর্তী মালিকের নামে থাকা খতিয়ানের কপি (যেমন: আরএস বা বিএস খতিয়ান)।
- ভূমি উন্নয়ন করের রশিদ: জমির হালনাগাদ খাজনার দাখিলা। (এটি থাকা বাধ্যতামূলক)।
- ওয়ারিশ সনদ: যদি উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। এটি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
- এনআইডি কার্ড: আবেদনকারী এবং বিক্রেতা উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
- ছবি: আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ধাপে ধাপে ই নামজারি আবেদন করার প্রক্রিয়া
অনলাইনে নামজারি আবেদন করা এখন খুবই সহজ। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
- অফিসিয়াল পোর্টালে প্রবেশ: প্রথমে বাংলাদেশ সরকারের ই-নামজারি সিস্টেমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (mutation.land.gov.bd)-এ প্রবেশ করুন।
- অ্যাকাউন্ট তৈরি/লগইন: আপনার মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করুন অথবা লগইন করুন।
- আবেদন ফরম পূরণ: ‘নামজারি আবেদন’ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনাকে জমির তফসিল (জেলা, উপজেলা, মৌজা), বিক্রেতা (দাতা) এবং ক্রেতা (গ্রহীতা)-এর বিস্তারিত তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।
- কাগজপত্র আপলোড: উপরে উল্লিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপিগুলো নির্দিষ্ট স্থানে আপলোড করুন। ফাইলগুলো যেন স্পষ্ট এবং পাঠযোগ্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- ফি প্রদান: আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনাকে প্রাথমিক আবেদন ফি (কোর্ট ফি ২০ টাকা ও নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা) অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ: আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনি একটি ট্র্যাকিং নম্বর বা আবেদন আইডি পাবেন। এই নম্বরটি অবশ্যই সংরক্ষণ করুন, কারণ এটি নামজারি আবেদন চেক করার জন্য প্রয়োজন হবে।
ই নামজারি যাচাই: আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন
আবেদন করার পর সবাই অধীর আগ্রহে থাকেন এর বর্তমান অবস্থা জানার জন্য। ই নামজারি যাচাই বা নামজারি আবেদন চেক করার প্রক্রিয়াটিও খুব সহজ।
১. অনলাইন পোর্টালে ট্র্যাকিং:
- mutation.land.gov.bd ওয়েবসাইটের হোম পেজেই ‘আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা’ বা ‘ট্র্যাকিং’ নামে একটি অপশন পাবেন।
- সেখানে আপনার বিভাগ নির্বাচন করে আবেদন আইডি (Tracking Number) এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে ‘অনুসন্ধান’ বাটনে ক্লিক করুন।
- আপনি দেখতে পারবেন আপনার আবেদনটি বর্তমানে কোন পর্যায়ে আছে।
২. আবেদনের বিভিন্ন স্ট্যাটাসের অর্থ:
- অপেক্ষমাণ: আপনার আবেদনটি জমা হয়েছে এবং এখনো কোনো কর্মকর্তা এটি দেখেননি।
- তদন্তাধীন: আপনার আবেদনটি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহসিলদার) কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
- শুনানির জন্য ধার্য: আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং কোনো প্রশ্ন থাকলে বা কাগজপত্রের মূল কপি দেখার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট তারিখে AC (Land) অফিসে ডাকা হতে পারে।
- চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমাণ: শুনানি সন্তোষজনক হলে বা কোনো আপত্তি না থাকলে, এটি AC (Land) কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করবে।
- অনুমোদিত: আপনার আবেদনটি সফলভাবে অনুমোদিত হয়েছে।
- বাতিল: কাগজপত্রে অসংগতি বা তথ্যে ভুল থাকলে আবেদনটি বাতিল হতে পারে। বাতিলের কারণ পোর্টালেই উল্লেখ থাকবে।
নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান ও চেক (চূড়ান্ত ধাপ)
যখন আপনার আবেদনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হবে, তখন আপনাকে একটি নোটিফিকেশন বা বার্তা পাঠানো হবে। এরপর আপনার দুটি কাজ করতে হবে:
১. ডিসিআর (DCR) ফি প্রদান করা:
আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, পোর্টালে লগইন করে আপনাকে ডিসিআর (DCR – Duplicate Carbon Receipt) ফি বাবদ ১১০০ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। এই ফি পরিশোধ করার পরই আপনি আপনার নামজারি খতিয়ান পাওয়ার অধিকারী হবেন। মোট খরচ হয় (২০+৫০+১১০০) = ১১৭০ টাকা।
২. নামজারি খতিয়ান চেক ও ডাউনলোড:
ফি পরিশোধের পর আপনি পোর্টাল থেকেই আপনার চূড়ান্ত খতিয়ানটি (যাকে নামজারি খতিয়ান বলা হয়) ডাউনলোড করতে পারবেন। এই খতিয়ানটিতে একটি QR কোড থাকবে।
নামজারি খতিয়ান চেক করার সবচেয়ে আধুনিক উপায় হলো এই QR কোডটি স্ক্যান করা। আপনার স্মার্টফোন দিয়ে কোডটি স্ক্যান করলেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্ভারে থাকা আপনার খতিয়ানের মূল কপিটি দেখতে পারবেন। এটিই আপনার নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান এবং যাচাই করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি, যা এর সত্যতা নিশ্চিত করে।
শেষ কথা
ই নামজারি প্রক্রিয়া ভূমি সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে এসেছে। সঠিক কাগজপত্র প্রস্তুত থাকলে এবং প্রক্রিয়াটি জানা থাকলে, কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই আপনি আপনার জমির মালিকানা সরকারিভাবে রেকর্ডভুক্ত করতে পারেন। একটি সফল নামজারি আবেদন আপনার জমির আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করে, তাই জমি কেনার পর যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে ফেলুন।






